আমার আছে জল

Tuesday, August 22, 2006

What Should I do with My Life?

প্রত্যেক মানুষই বোধহয় জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে এই প্রশ্নের উত্তর খোজে । আমার জীবনের কি অর্থ? কি করা উচিত আমার এই জীবনকে নিয়ে? কৌশোরে হাসিখেলা, যৌবনে উদ্দামতা আর বৃদ্ধ বয়সে ফেলে আসা দিনের স্মৃতিচারণ, এটাই কি জীবন? পৃথিবী বা অন্য সবাইকে দেয়ার মতো বিশেষ কিছু কি আমার মধ্যে আছে? এরকম প্রশ্ন কমবেশী সবাইকেই ভাবায় । এই প্রশ্নের হয়তো সুনির্দিষ্ট কোনো উত্তর নেই । প্রত্যেকে হয়তো নিজের মতো করে তৈরী করে নেয় উত্তর, অথবা অনেকে উত্তর খুজে যায় আজীবন । সম্প্রতি আমি Po Bronson এর 'What Should I do with My Life?' বইটা পড়ছি । বিভিন্ন লোকের জীবনের ঘটনার আলোকে বইটা লেখা । বইটাতে যেসব মানুষের কথা লেখা হয়েছে তারা সবাই আমার আপনার মতো সাধারণ মানুষ । কিভাবে ছোটখাটো ঘটনা মানুষের জীবনকে পাল্টে দেয়, কিভাবে যার কাছে জীবন আপাতঃ অর্থহীন হয়ে গিয়েছিলো সে জীবনের অর্থ খুজে পায় বা কিভাবে অনেক ছোটখাটো ব্যাপারেও একজন অতি উচ্চাভিলাষী মানুষ বেচে থাকার আনন্দ খুজে পায়, বইটিতে উল্লেখ করা ঘটনায় সেসব উঠে এসেছে । এখনো আমি পুরোটা পড়ে শেষ করিনি । এখন পর্যন্ত আমার কাছে অসাধারণ লাগছে । বইটা শেষ হলে আবার কিছু লিখবো ।

লেখাটির শ্রেণী : .

ডেলিশিয়াস?

ব্লগের পোস্টের শ্রেণীবিভাগ তৈরী করা গেলে কতো ভালো হতো, তাই না? বা, শুধু ব্লগের পোস্টের কথাই বা বলছি কেনো, আমরা অনেক সময়ই চাই আমাদের পছন্দের লিঙ্কগুলোকে সেভ করে রাখতে । এজন্য অবশ্য প্রায় সব ব্রাউজারেই বুকমার্ক অপশন থাকে । কিন্তু, বাসার কম্পিউটারে সেভ করে রাখা বুকমার্ক যদি অফিস বা অন্য কোথাও থেকে দেখার দরকার হয়, তখনই হয়ে যায় সমস্যা । সেই সমস্যার সমাধান হচ্ছে - ডেলিশিয়াস (del.icio.us)। এখানে পছন্দ মতো URL সেভ করে রাখা যাবে, এমনকি চাইলে আমার মতো করে পোস্টের শ্রেণীবিভাগও তৈরী করা যাবে । ব্লগে ডেলিশিয়াস ব্যবহার করে কেমন করে শ্রেণীবিভাগ তৈরী করবেন সেটা বুঝতে সমস্যা হলে আমাকে মেইল করুন - asif.ahmed.anik অ্যাড্রেসমার্ক gmail.com ।

লেখাটির শ্রেণী : .

Monday, August 21, 2006

Firefox-এ পোষ্টের হেডারে বাংলা অক্ষরের মাঝে ফাঁকাস্হান চলে আসলে....

যারা ব্লগার ব্যবহার করছেন তারা কেউ কেউ হয়তো আমার মতো এই সমস্যায় পড়ে থাকতে পারেন । Firefox-এ ব্লগার এর পোষ্ট-এর হেডার বাংলায় ঠিকমতো দেখা যায় না, মাঝখানে ফাঁকাস্হান চলে আসে । Template এ
'h3.post-title'
এর ভিতরের কনটেন্ট থেকে
'letter-spacing: -1px;'
লাইনটা তুলে দিলে বা কমেন্ট করে দিলে এই সমস্যাটা আর থাকবে না ।

Saturday, August 19, 2006

আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যে বা...

আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যে বা,
আমি বাধি তার ঘর,
আপন করিতে কাদিয়া বেড়াই,
যে মোরে করেছে পর ।

- জসীম উদদীন

Friday, August 18, 2006

চলে গেলেন শামসুর রাহমান....

গতকাল দেশবরেণ্য, বাংলাদেশের অবিসাংবাদিত সেরা কবি শামসুর রাহমান চলে গেলেন আমাদের সবাইককে ছেড়ে । তিনি শুধু আমারই নন, বরং আরো অনেকের খুব প্রিয় কবি ছিলেন । অনেকবার তার লেখা কবিতা আবৃত্তি করেছি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে । এইতো সেদিন টোকিওতে বর্ষবরণ উত্সব ও বৈশাখী মেলায় আবৃত্তি করলাম কবির লেখা 'গুড মর্নিং বাংলাদেশ' । ভাবতে কষ্ট হচ্ছে তিনি আমাদের জন্য আর নতুন কোনো কবিতা লিখবেন না, আর তার শব্দমালা বাধভাঙ্গা আবেগ জাগিয়ে তুলবে না । তবুও তার সৃষ্টি অসাধারণ কবিতাগুলো তার স্মৃতিকে অমলিন করে রাখবে । কবি শামসুর রাহমানের ওপারের যাত্রা সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে ধন্য হোক এই কামনা করি ।

'যেদিন মরবো আমি, সেদিন কী বার হবে বলা মুশকিল ।
শুক্রবার? বুধবার? শনিবার? নাকি রবিবার?
যে বারই হোক,
সেদিন বর্ষায় যেন না ভেজে শহর, যেন ঘিনঘিনে কাদা
না জমে গলির মোড়ে । সেদিন ভাসলে পথ-ঘাট,
পূণ্যবান শবানুগামীরা বড়ো বিরক্ত হবেন ।'
(শামসুর রাহমান, বিবেচনা, নিজ বাসভূমে)

এইভাবে খুন হয়ে যায় কতো জীবনের গান....

অনেকদিন ধরেই ব্যাপারটা নিয়ে লিখবো ভাবছিলাম । যদিও, এসব বিষয়ে প্রত্যেকের একটা নিজস্ব চিন্তাধারণা হয়তো আছে, আর সেটা হয়তো স্বাভাবিকভাবেই আমার চিন্তাভাবনা থেকে আলাদা । ইসরায়েলের লেবানন আক্রমণ এবং শিশুসহ মূলতঃ সাধারণ মানুষদের হত্যার ঘটনা হয়তো শুধু আমার নয় বরং অনেকের মনেই দাগ কেটে থাকতে পারে । ইসরায়েলের বর্বরতার ইতিহাস অবশ্য নতুন নয় । নতুন নয় আমেরিকার তাতে ইন্ধন জোগানোও । কিন্তু, এবার অপহৃত তিনজন সৈন্যকে উদ্ধারের নাম করে ইসরায়েল যে হত্যাযজ্ঞ চালালো তা আসলেই অমানবিক এবং নজিরবিহীন । শিশুদের আশ্রয়কেন্দ্রে বোমাহামলা করে শিশু হত্যা, হাসপাতালে আক্রমণ করে আহত মানুষ হত্যা ইত্যাদি ইত্যাদি । যুদ্ধের মধ্যেও কিছু নিয়মনীতি মেনে চলা হয়, কিছুটা মানবিকতা রক্ষা করা হয় । কিন্তু, দেখে দুঃখ লাগে যে পৃথিবী থেকে ভালো অনেক কিছুর মতো মানবিকতা ব্যাপারটাও একরককম উঠেই যাচ্ছে । কিছুদিন আগে আমেরিকা কোনো কারণ ছাড়াই (কোনো স্বার্থ ছাড়াই এ কথা অবশ্য বলা যাবে না) ইরাক আক্রমণ করে পৃথিবীতে যে অস্হিরতাটা শুরু করে দিয়েছিলো, তাদের স্নেহধন্য ইসরায়েল যেন তারই বিস্তার ঘটাচ্ছে । এ প্রসঙ্গে অনেকেই হয়তো বলবেন যে তথাকথিত মৌলবাদী সন্ত্রাসীরাই তো প্রথমে টুইন টাওয়ার-এ হামলা চালিয়ে এর সূচনা করেছে । উত্তরে বলবো, সেসব ঘৃণ্য সন্ত্রাসীদের অবশ্যই যথাযথ শাস্তির অধীনে আনা উচিত, কিন্তু তাদের ক্ষোভ সাধারণ মানুষ হত্যা করে কেনো? তাছাড়া এভাবে শুরু করা অর্থহীন যুদ্ধ শুধু শুরুই হয়, কখনো শেষ হয় না । উদাহরণ হিসাবে বলি, ইরাকের একটি শহরের শিক্ষিত একজন উদারপন্হী যুবক যে ঘুণাক্ষরেও ভাবেনি কোনোদিন সন্ত্রাসী হবে । কিন্তু, যখন সে চোখের সামনে দেখে তার নিরাপরাধ বাবা-মা, ভাই-বোন, স্ত্রী-সন্তান যারা কোনোদিন কোনোভাবে সন্ত্রাসের সাথে জড়িত ছিলো না তাদের হত্যা করা হয়, তখন কিন্তু তার কাছে জীবনের অন্য কোনো অর্থ আর অবশিষ্ট থাকে না । থাকে শুধু প্রতিশোধস্পৃহা । এভাবেই তৈরী হয়ে যায় নতুন নতুন সন্ত্রাসী, যারা কখনো সন্ত্রাসী হতে চায়নি । আমরা সবাই চোখের সামনে দেখছি এবং আমরা সবাই জানি, লেবানন দিয়ে শেষ নয় । আফগানিস্তান দিয়ে শুরু হয়ে ইরাক, এরপর লেবানন । আমেরিকা আর তার স্নেহধন্য ইসরায়েলের তালিকায় আছে ইরান, সিরিয়া এবং ধীরে ধীরে হয়তো সম্পূর্ণ মধ্যপ্রাচ্য । এভাবে যদি সত্যিই যুদ্ধ অগ্রসর হতে থাকে তাহলে তা নির্ঘাত্ ধর্মযুদ্ধে রূপ নিবে । নিভে যাবে আরো কতো জীবনের গান । সভ্যতা নাকি অগ্রসর হয়েছে অনেকদূর । এই কি তার নমুনা? এমন দিন কি কখনো আসবে না যখন পৃথিবীর কোনো শিশু বোমার বা ধর্মের নামে ক্ষমতা দখলের বলিদান হবে না । কখনো কি ধর্মের চেয়ে মানুষকে বড় করে দেখা হবে না ? বর্তমান অবস্হা দেখে মনে হয় - কখনোই হবে না । এইভাবেই কি নিভে যেতে থাকবে অনেক সম্ভাবনাময় জীবনের প্রদীপ, এইভাবেই কি খুন হয়ে যাবে অনেক জীবনের গান??

Thursday, August 17, 2006

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের আফ্রিকা সফর

দেশের বাইরে প্রথম সিরিজ জয় করলো বাংলাদেশ কেনিয়াকে হারিয়ে । যদিও জিম্বাবুয়ে সফরেই এই অর্জনটা হবে এমন প্রত্যাশা ছিলো সবার, কিন্তু ধারাবাহিক বাজে ব্যাটিং আর জিম্বাবুয়ের কিছু ব্যাটসম্যানের অসাধারণ ব্যাটিং সেই স্বপ্ন পূরণ হতে দেয়নি । আমার মনে হয়েছে, জিম্বাবুয়ে সফরের খেলাগুলো আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে কোথায় আমরা এখনও অনেক অনেক পিছিয়ে আছি । জিম্বাবুয়ের খেলোয়াড়দের মধ্যে যেখানে মাতসিকেনিয়ারি, টেইলর বা চিগুম্বুরারা একাই ম্যাচ বের করে নিয়ে যায় সেখানে আমাদের তথাকথিত তারকা খেলোয়াড়রা (যেমন- আশরাফুল, আফতাব) ধারাবাহিক দায়িত্বজ্ঞানহীনতা দেখাতেই যেন বেশী আগ্রহী । কেনিয়া সফরে ৩-০ তে কেনিয়াকে হোয়াইট ওয়াশ করতে পারলেও, বরাবরের মতোই দায়িত্বজ্ঞানহীন টপ অর্ডার ব্যাটিং এর কারণে খুব স্বচ্ছন্দে ম্যাচগুলো যেতা যায়নি । বরং ভবিষ্যত নিয়ে সে স্বপ্ন মনে বাসা বাঁধছিলো আফ্রিকা সফরের শেষে তা সংশয়ে মেঘাচ্ছন্ন হয়ে উঠছে । এ সফর থেকে একদমই যে কিছু পাওয়া হয়নি তা অবশ্য নয় । জিম্বাবুয়েতে একদিনের ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে শাহাদতের প্রথম হ্যাট্রিক, কেনিয়াতে মাশরাফির পর পর তিন ম্যাচে ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স, ফরহাদ রেজা বা সাকিব-আল-হাসানের মতো তরুণদের দায়িত্ব নিয়ে খেলা আর রাজ্জাক বা রাসেলের উদ্দীপক বোলিং ছিলো চমত্কার কিছু অর্জন । কিন্তু, দলের তথাকথিত মেধাবী খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক দায়িত্বজ্ঞানহীনতা এসব অর্জনকে অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে ।

Friday, August 11, 2006

তুমি বেশ বদলে গেছো...

তুমি বেশ বদলে গেছো
পুরনো সৈকতে আর পানশি ভেড়াও না,
জানি না কোন সাগরের ঝিনুক থেকে একটিবারও পলক ফেরাও না...

বিকেলের সোনা যেমন ঝিলের জলে,
প্রণয়ের রং ছড়িয়ে ছন্দ তোলে,
তেমনি চাওয়ার ছিলো তোমার কাছে,
সাগর তলের তেমন কোনো পান্না হীরেও না....

তুমি বেশ বদলে গেছো
পুরনো সৈকতে আর পানশি ভেড়াও না....

যে ঘাটে নোঙর ফেলে নিজের হাতে
দুচোখে স্বপ্ন নিয়ে দিন কাটাতে
সে ঘাটের রংমহলায় খিল দিয়ে আজ
পোষ মানানো পাখির ডাকেও একটু তাকাও না....

তুমি বেশ বদলে গেছো
পুরনো সৈকতে আর পানশি ভেড়াও না,
জানি না কোন সাগরের ঝিনুক থেকে একটিবারও পলক ফেরাও না....

বাংলায় লেখা ও ফন্ট সেট করা

বাংলা লেখা এখন অনেক সহজ হয়ে এসেছে । একই সাথে সহজ হয়ে এসেছে ব্লগারের মতো সাইটের মাধ্যমে পাবলিশিং । বাংলায় ব্লগ লেখা শুরু করার সময় সম্পর্কিত যেসব ধারণা আমার হয়েছে সেগুলো এখানে গুছিয়ে লেখার চেষ্টা করলাম -

লেখা: লেখার জন্য এখন অনেক সফটওয়্যার রয়েছে । অভ্র একটি চমত্কার ফ্রি সফটওয়্যার । এটি ইনস্টল করলে সাথে ওপেনটাইপ ফন্টগুলোও ইনস্টল হয়ে যায় । সুতরাং, নতুন যারা শুরু করবেন তাদের জন্য অভ্র একটি ভালো অপশন । এছাড়াও আমি নিয়মিতভাবে গ্লোবাল রাইটার ব্যবহার করি । এটা অবশ্য ফ্রি নয় । তবে, ইউনিটাইপ এর ওয়েবসাইট থেকে ডেমো ভার্সান নামিয়ে ১৫ বার ফ্রি ব্যবহার করা যায় । উভয়টিই ফোনেটিক টাইপিং সাপোর্ট করে । আমার দৃষ্টিতে সকলের ফোনেটিক পদ্ধতিতে বাংলা লেখায় অভ্যস্ত হওয়া উচিত । এতে করে নির্দিষ্ট কোনো একটা কিবোর্ড লে-আউটের সীমাবদ্ধতা থেকে বেরিয়ে আসা যায় । ভবিষ্যতে যখন আরো অনেকে বাংলায় সাইট তৈরী করতে বা পড়তে উদ্বুদ্ধ হবেন, তখন নিশ্চিতভাবেই ফোনেটিক পদ্ধতি জনপ্রিয়তা পাবে । তাই, এখন থেকেই এর সাথে পরিচিত হয়ে থাকা ভালো । উল্লেখ্য, জাপানী ভাষাও ফোনেটিক পদ্ধতিতে লেখা হয় । আমার ধারণা বাংলা লেখার ক্ষেত্রেও একসময় শুধু ফোনেটিক পদ্ধতিই ব্যবহার হবে ।

ফন্ট সেট করা / পড়া : ব্রাউজারে বাংলা পড়তে অনেকেই সমস্যার মুখোমুখি হন । মাইক্রোসফটের সাথে এখন ভ্রিন্দা নামের একটা ফন্ট সরাসরি আসে । সুতরাং, সেটিংস-এ সামান্য কিছু পরিবর্তন করে নিলেই বাংলা পড়া সম্ভব । যদিও, ভ্রিন্দা ফন্টটি দেখতে খুবই বাজে । আমার ব্যক্তিগত পছন্দ লিখন ফন্ট । আপনি যদি ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ইউজার হন তাহলে নিচের পদ্ধতিতে লিখন ফন্ট (বা পছন্দের অন্য যেকোনো ওপেনটাইপ ফন্ট) কে সবসময় ব্যবহারের জন্য ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারকে সেট করে নিতে পারেন । বাংলা সঠিকভাবে দেখার জন্য নিচের প্রথম দুটি স্টেপ অবশ্যকরণীয় । তৃতীয়টি ফন্ট পাল্টানোর জন্য ।

১। Tools থেকে Internet Options এ গিয়ে Language বাটন চাপতে হবে ।
২। Add বাটন চেপে Bengali যোগ করতে হবে ।
৩। এরপর Fonts বাটন চেপে Language Scripts এর জায়গায় Bengali সিলেক্ট করে পছন্দের ফন্টটি সিলেক্ট করতে হবে ।

Firefox ব্যবহারকারীদের জন্য -

১। Tools থেকে Options ।
২। Content এর Font & Color এর Advanced বাটন চাপতে হবে ।
৩। Fonts For এ Bengali সিলেক্ট করতে হবে ।
৪। Proportional এর বিপরীতে Serif সিলেক্ট করতে হবে ।
৫। Serif এবং Sans-Serif এর বিপরীতে লিখন (বা আপনার পছন্দের ফন্ট) সিলেক্ট করতে হবে ।
৬। Monospace এর বিপরীতে Mitra Mono বা অন্য কোনো ফন্ট সিলেক্ট করতে হবে ।
৭। Default Character Encoding যেন UTF-8 থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে ।

অনেক চেষ্টা করেও আমি Mac-এ Firefox বা Safari-তে সঠিকভাবে বাংলা দেখতে পারিনি । কেউ যদি পেরে থাকেন দয়া করে আমাকে জানাবেন (asif.ahmed.anik অ্যাড্রেস মার্ক gmail.com) ।

এছাড়া নিচের লিঙ্কগুলোও বাংলা লেখা বা পড়ার সাথে সম্পর্কিত ।

বাংলা লেখা বা পড়া সংক্রান্ত ব্লগ
উইন্ডোজ IME ব্যবহার করে বাংলা লেখা (সৈকত চৌধুরীর ব্লগের পোস্ট)
অমিক্রন ল্যাব (অভ্র)
বাংলা ইউনিকোড সেট আপ গাইড (বাংলাক্রিকেট)
বাংলা স্ক্রিপ্ট ডিসপ্লে হেল্প (উইকিপিডিয়া)

Tuesday, August 08, 2006

স্বপ্নের মতো ছিলো দিনগুলো কফি হাউসেই......আজ আর নেই

স্বপ্নের মতো ছিলো দিনগুলো কফি হাউসেই
আজ আর নেই
জীবনে চলার পথে হারিয়ে গিয়েছে অনেকেই
আজ আর নেই
..................

নিখিলেশ লিখেছে প্যারিসের বদলে এখানেই পূজোটা কাটাবে
ঢাকার অফিস থেকে কি এক জরুরী কাজে মায়দুলকেও নাকি পাঠাবে
একটা ফোনেই জানি রাজী হবে সুজাতা, আসবে না অমল আর রমা রায়
আমাদের ফাঁকি দিয়ে কবেই তো চলে গেছে, ওদের কখনো কি ভোলা যায়

স্বপ্নের মতো ছিলো দিনগুলো কফি হাউসেই
আজ আর নেই
..............

ওরা যেন ভালো থাকে একটু দেখিস তোরা, শেষ অনুরোধ ছিলো ডি'সুজার
তেরো তলা বাড়িতে সবকিছু আছে তবু, কিসের অভাব যেন সুজাতার
একটাও তার লেখা হয়নি কোথাও ছাপা, অভিমান খুব ছিলো অমলের
ভালো লাগে দেখে তাই সেইসব কবিতাই মুখে মুখে ফেরে আজ সকলের

স্বপ্নের মতো ছিলো দিনগুলো কফি হাউসেই
আজ আর নেই
..............

নাম যশ খ্যাতি আর অনেক পুরষ্কার, নিখিলেশ একই থেকে গিয়েছে
একটাই মেয়ে বলে সুজাতা বিয়েতে তার, দুহাত উজাড় করে দিয়েছে
সবকিছু অগোছালো ডি'সুজার বেলাতে, নিজেদের অপরাধী মনে হয়
পার্কস্ট্রিটে মাঝরাতে ওর মেয়ে নাচে গায়, ইচ্ছে বা তার কোনো শখে নয়

স্বপ্নের মতো ছিলো দিনগুলো কফি হাউসেই
আজ আর নেই
..............

কার দোষে ভাঙ্গলো যে মায়দুল বলেনি, জানি ওরা একসাথে থাকে না
ছেলে নিয়ে মারিয়ম কোথায় হারিয়ে গেছে, কেউ আর কারো খোঁজ রাখে না
নাটকে যেমন হয় জীবন তেমন নয়, রমা রয় পারেনি তা বুঝতে
পাগলা গারদে তার কেটে গেছে শেষ দিন হারানো সে চেনা মুখ খুঁজতে

স্বপ্নের মতো ছিলো দিনগুলো কফি হাউসেই
আজ আর নেই
..............
দেয়ালের রং আর আলোচনা পোষ্টার, বদলে গিয়েছে সব এখানেই
তবুও প্রশ্ন নেই যে আসে বন্ধু সেই, আড্ডা তর্ক চলে সমানেই
সেই স্বপ্নের দিনগুলো বাতাসে উড়িয়ে ধুলো, হয়তো আসছে ফিরে আজ আবার
অমলের ছেলেটার হাতে উঠে এসেছে ডি'সুজার ফেলে যাওয়া সে গিটার

স্বপ্নের মতো ছিলো দিনগুলো কফি হাউসেই
আজ আর নেই
জীবনে চলার পথে হারিয়ে গিয়েছে অনেকেই
আজ আর নেই
..................

Sunday, August 06, 2006

আরাকাওয়ার আতশবাজি

গতকাল আরাকাওয়া'র আতশবাজি দেখে এলাম । জাপানে আতশবাজি দেখা গ্রীষ্মের অন্যতম প্রধান একটি আকর্ষণ যা জাপানী ভাষায় হানাবি নামে পরিচিত । আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা অনুযায়ী হানাবিতে যাওয়ার সময় নিচের জিনিসগুলি অবশ্যই সাথে নিয়ে যাওয়া উচিত -

১। নিচে বিছানোর জন্য শিট
২। ক্যামেরা
৩। এলাকার ম্যাপ
৪। মশা তাড়ানোর ওষুধ
৫। রুমাল
৬। সময় কাটানোর জন্য সুদোকু বা UNO
৭। সানস্ক্রিন
৮। পোর্টেবল অ্যাশট্রে
৯। ড্রিংকস ও হালকা খাবার

এছাড়া ফিরতি টিকেট স্টেশন থেকে বের হওয়ার সময়ই কেটে রাখা উচিত, কারণ ফেরার সময় প্রচন্ড ভীড় হয় ।

Thursday, August 03, 2006

অংকের সত্যিকারের মেধাবী ছাত্রের খাতা




Tuesday, August 01, 2006

আমি বাংলায় গান গাই

অনেকবার পুরো গানটা খুজেছি নেটে । সংগ্রহে রাখার মতো -

আমি বাংলায় গান গাই,
আমি বাংলার গান গাই,
আমি আমার আমিকে চিরদিন এই বাংলায় খুজে পাই,
আমি বাংলায় দেখি স্বপ্ন,
আমি বাংলায় বাধি সুর,
আমি এই বাংলার মায়াভরা পথে হেটেছি এতটা দূর
বাংলা আমার জীবনানন্দ, বাংলা প্রাণের সুর,
আমি একবার দেখি, বারবার দেখি,
দেখি বাংলার মুখ

..............

আমি বাংলায় কথা কই,
আমি বাংলার কথা কই,
আমি বাংলায় হাসি, বাংলায় ভাসি, বাংলায় জেগে রই,
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার,
আমি সব দেখে শুনে ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিত্কার,
বাংলা আমার দৃপ্ত শ্লোগান, ক্ষিপ্ত তীরধনুক,
আমি একবার দেখি বারবার দেখি, দেখি বাংলার মুখ

...............

আমি বাংলায় ভালোবাসি,
আমি বাংলাকে ভালোবাসি,
আমি তারই হাত ধরে সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে আসি,
আমি যা কিছু মহান বরণ করেছি বিনম্র শ্রদ্ধায়,
মেশে তের নদী সাত সাগরের জল গঙ্গায় পদ্মায়,
বাংলা আমার তৃষ্ণার জল, তৃপ্ত শেষ চুমুক,
আমি একবার দেখি, বারবার দেখি, দেখি বাংলার মুখ

...............

আমি বাংলায় গান গাই, আমি বাংলার গান গাই......