আমার আছে জল

Monday, September 18, 2006

আমার সোনার বাংলা...

কখনও বৃষ্টি নামে এই কংক্রিটের অরণ্যে
আর বৃষ্টির ফোটায় ভর করে নেমে আসে স্মৃতিরা
মনে পড়ে যায় বহু দূরে ফেলে আসা দেশের কথা
মনে পড়ে সেই সোনালী দিন, সেই প্রিয় মুখগুলো

মা এখনও প্রতি বছর বানান পছন্দের আচার
মুছে রাখেন ছবির ফ্রেম
বাবার এখনও অবসর নেয়া হয়নি
জীবনের দায়িত্ব কেউ বুঝে নেয়নি তার কাছ থেকে
সারা জীবন ছিলেন সবার আশ্রয়
আজ তার নিজেরই প্রয়োজন দায়িত্ব বুঝে নেয়ার মতো একজন
তাই এখন তাদের সময় কাটে আপনার ফিরে যাবার দিন গুনে
স্বপ্ন দেখেন, একদিন আপনি খুজে পাবেন সেই পথ
প্রাণের শব্দে গমগম করে উঠবে একদিন এই বিরান গৃহস্হালি
তাদের মতো দেশও আজ আপনার প্রতীক্ষায়
এই তো দেশের চাওয়া, আমাদের স্বপ্ন
দেশের মেধাবী সন্তানেরা ফিরে আসবে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে
আসুন, কিছুটা হলেও দেশের ঋণ শোধ করার চেষ্টা করি
আমরাই একসাথে আনতে পারি পরিবর্তন....

তুমি কবি নজরুলের কবিতা,
উন্নত মম শির,
তুমি রক্তের কালিতে লেখা নাম
সাত শ্রেষ্ঠ বীর
তুমি সুরের পাখি আব্বাসের
দরদভরা সেই গান
তুমি আব্দুল আলিমের সর্বনাশা
পদ্মা নদীর টান
তুমি সুফিয়া কামালের কাব্যভাষায়
নারীর অধিকার
তুমি স্বাধীন বাংলা বেতারের
শানিত ছুরির ধার
তুমি জয়নুল আবেদীন এস এম সুলতানের
রং তুলির আচড়
শহীদুল্লাহ কায়সার, মনির চৌধুরীর
নতুন দেখা সেই ভোর
আমার সোনার বাংলা
আমি তোমায় ভালোবাসি
জন্ম দিয়েছো তুমি মা গো
তাই তোমায় ভালোবাস
আমার প্রাণের বাংলা
আমি তোমায় ভালোবাসি
প্রাণের প্রিয় মা গো তোকে
বড় বেশী ভালোবাসি

ইউ-টিউবে দেখা স্কয়ারের চমত্কার এই বিজ্ঞাপনটা আমাকে অনেক বেশী করে মনে করিয়ে দিয়েছে যে দেশের জন্য কতটা ভালোবাসা আমাদের মনের গহীনে জমা হয়ে আছে ।


লেখাটির শ্রেণী : .

Tuesday, September 12, 2006

তাইওয়ান


সেপ্টেম্বরের ১ থেকে ৪ তারিখ তাইওয়ান ঘুরে এলাম । সময় খুব বেশী হাতে না থাকায় শুধু তাইপের মধ্যেই ভ্রমণ সীমাবদ্ধ রাখতে হয়েছে । তারপরেও মন্দ হয়নি ঘোরাঘুরি । তাইপের বিখ্যাত বেশকিছু মন্দির, বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে উচু তাইপে ১০১ বিল্ডিং, সিরিন মার্কেট, অনসেন (হট স্প্রিং), পায়ের তালুর ম্যাসাজ সব মিলিয়ে বেশ ভালোই কেটেছে সময় । প্রধান সমস্যা হয়েছে অবশ্যই ভাষায় । ইংরেজী একদমই চলে না, সেই তুলনায় বরং জাপানী ভাষা বলতে পারে এমন লোকের সংখ্যা বেশী । তাইওয়ানে সাইকেল-রিকশা নেই, কিন্তু সারা শহর স্কুটারে ভরা । রাস্তার পাশে পার্ক করে রাখা সারি সারি স্কুটার চোখে পড়েছে সবখানে । এক স্কুটারে সর্বোচ্চ ৫ জন পর্যন্ত চড়তে দেখলাম । তাইওয়ানে এখন চমত্কার মেট্রো সার্ভিস চালু হয়েছে । তাই, যাওয়ার আগে একটু পড়াশোনা করে গেলে মেট্রো চড়ে কম খরচে অনেক জায়গায় ঘোরা যায় । ম্যাকডোনাল্ডস বা কে এফ সি র নাম পর্যন্ত কানজিতে লেখা । সবকিছু কানজি । জাপানের চেয়ে তাইওয়ানের কানজি বেশ আলাদা এবং জটিল বলেই মনে হলো । তাইওয়ান মূলতঃ চীনের সংস্কৃতিই ধরে রেখেছে । অল্প সময়ে যেটুকু বুঝলাম, চীনের সংস্কৃতি জাপানের থেকে বেশ আলাদা ।

লেখাটির শ্রেণী : .