এইভাবে খুন হয়ে যায় কতো জীবনের গান....
অনেকদিন ধরেই ব্যাপারটা নিয়ে লিখবো ভাবছিলাম । যদিও, এসব বিষয়ে প্রত্যেকের একটা নিজস্ব চিন্তাধারণা হয়তো আছে, আর সেটা হয়তো স্বাভাবিকভাবেই আমার চিন্তাভাবনা থেকে আলাদা । ইসরায়েলের লেবানন আক্রমণ এবং শিশুসহ মূলতঃ সাধারণ মানুষদের হত্যার ঘটনা হয়তো শুধু আমার নয় বরং অনেকের মনেই দাগ কেটে থাকতে পারে । ইসরায়েলের বর্বরতার ইতিহাস অবশ্য নতুন নয় । নতুন নয় আমেরিকার তাতে ইন্ধন জোগানোও । কিন্তু, এবার অপহৃত তিনজন সৈন্যকে উদ্ধারের নাম করে ইসরায়েল যে হত্যাযজ্ঞ চালালো তা আসলেই অমানবিক এবং নজিরবিহীন । শিশুদের আশ্রয়কেন্দ্রে বোমাহামলা করে শিশু হত্যা, হাসপাতালে আক্রমণ করে আহত মানুষ হত্যা ইত্যাদি ইত্যাদি । যুদ্ধের মধ্যেও কিছু নিয়মনীতি মেনে চলা হয়, কিছুটা মানবিকতা রক্ষা করা হয় । কিন্তু, দেখে দুঃখ লাগে যে পৃথিবী থেকে ভালো অনেক কিছুর মতো মানবিকতা ব্যাপারটাও একরককম উঠেই যাচ্ছে । কিছুদিন আগে আমেরিকা কোনো কারণ ছাড়াই (কোনো স্বার্থ ছাড়াই এ কথা অবশ্য বলা যাবে না) ইরাক আক্রমণ করে পৃথিবীতে যে অস্হিরতাটা শুরু করে দিয়েছিলো, তাদের স্নেহধন্য ইসরায়েল যেন তারই বিস্তার ঘটাচ্ছে । এ প্রসঙ্গে অনেকেই হয়তো বলবেন যে তথাকথিত মৌলবাদী সন্ত্রাসীরাই তো প্রথমে টুইন টাওয়ার-এ হামলা চালিয়ে এর সূচনা করেছে । উত্তরে বলবো, সেসব ঘৃণ্য সন্ত্রাসীদের অবশ্যই যথাযথ শাস্তির অধীনে আনা উচিত, কিন্তু তাদের ক্ষোভ সাধারণ মানুষ হত্যা করে কেনো? তাছাড়া এভাবে শুরু করা অর্থহীন যুদ্ধ শুধু শুরুই হয়, কখনো শেষ হয় না । উদাহরণ হিসাবে বলি, ইরাকের একটি শহরের শিক্ষিত একজন উদারপন্হী যুবক যে ঘুণাক্ষরেও ভাবেনি কোনোদিন সন্ত্রাসী হবে । কিন্তু, যখন সে চোখের সামনে দেখে তার নিরাপরাধ বাবা-মা, ভাই-বোন, স্ত্রী-সন্তান যারা কোনোদিন কোনোভাবে সন্ত্রাসের সাথে জড়িত ছিলো না তাদের হত্যা করা হয়, তখন কিন্তু তার কাছে জীবনের অন্য কোনো অর্থ আর অবশিষ্ট থাকে না । থাকে শুধু প্রতিশোধস্পৃহা । এভাবেই তৈরী হয়ে যায় নতুন নতুন সন্ত্রাসী, যারা কখনো সন্ত্রাসী হতে চায়নি । আমরা সবাই চোখের সামনে দেখছি এবং আমরা সবাই জানি, লেবানন দিয়ে শেষ নয় । আফগানিস্তান দিয়ে শুরু হয়ে ইরাক, এরপর লেবানন । আমেরিকা আর তার স্নেহধন্য ইসরায়েলের তালিকায় আছে ইরান, সিরিয়া এবং ধীরে ধীরে হয়তো সম্পূর্ণ মধ্যপ্রাচ্য । এভাবে যদি সত্যিই যুদ্ধ অগ্রসর হতে থাকে তাহলে তা নির্ঘাত্ ধর্মযুদ্ধে রূপ নিবে । নিভে যাবে আরো কতো জীবনের গান । সভ্যতা নাকি অগ্রসর হয়েছে অনেকদূর । এই কি তার নমুনা? এমন দিন কি কখনো আসবে না যখন পৃথিবীর কোনো শিশু বোমার বা ধর্মের নামে ক্ষমতা দখলের বলিদান হবে না । কখনো কি ধর্মের চেয়ে মানুষকে বড় করে দেখা হবে না ? বর্তমান অবস্হা দেখে মনে হয় - কখনোই হবে না । এইভাবেই কি নিভে যেতে থাকবে অনেক সম্ভাবনাময় জীবনের প্রদীপ, এইভাবেই কি খুন হয়ে যাবে অনেক জীবনের গান??
1মন্তব্য :
আমাদের দেশ হল নদী প্রধান। সেই কারনে আমাদের প্রিয় খাবার মাছ। মাছ ছাড়া আমাদের চলেই না। কিন্তু আজ কাল তাজা মাছ পাওয়া যায় না। সবাই অনেক সময় তাজা বা টাটকা এবং ফরমালিন মুক্ত মাছ খোঁজ করেন। ফরমালিন মুক্ত মাছ, তাজা সামুদ্রিক মাছ, গলদা চিংড়ি, চিংড়ি, তাজা জল-মাছ, কাঁকড়া, ইত্যাদি দরণের মাছ খোঁজ পেতে পারেন। তাহলে ভিজিট করুন freshfishbd.
By saifulhasan, at 4/6/15 3:10 PM
Post a Comment
<< হোমপেজ